গাজীপুরে ঘর থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত : ১২:১৩, ২৩ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:২৫, ২৩ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের কাশিমপুরের গোবিন্দবাড়ি এলাকায় একটি বাড়ি থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, স্ত্রী ও সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার সকালে গাজীপুরের গোবিন্দবাড়ি দেওয়ানপাড়া এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মো. নাজমুল ইসলাম, স্ত্রী খাদিজা আক্তার ও তাদের ৪ বছরের সন্তান নাদিয়া।
নিহত নাজমুল টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার শুলপ্রতিমা গ্রামের। নাজমুল নেশার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে তার শ্বশুর ও পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্বশুরের দেয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নাজমুল বসবাস করতেন। গত কয়েক বছর ধরে নাজমুল বেকারভাবে জীবন যাপন করছিল এবং নেশায় আক্রান্ত ছিল। গতরাত তারা ঘুমাতে যান। সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় ঘরের পেছন দিয়ে জানালা টেনে মেয়ের জামাই নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান শ্বশুর।
পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেতর থেকে লাগানো দরজা খুললে বিছানায় তার স্ত্রী ও তাদের চার বছর বয়সী নিথর মরদেহ দেখতে পান।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ভেতর থেকে দরোজা বন্ধ অবস্থায় নাজমুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পাশের রুম থেকে লোক উঠিয়ে দরজা খোলা হলে বিছানায় স্ত্রী খাদিজা ও শিশু নাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ দিয়ে বা শ্বাসরোধে স্ত্রী, সন্তানকে হত্যার পর নাজমুল রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
ঘটনাস্থলে হারপিকের বোতল পাওয়া গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি।
এএইচ
আরও পড়ুন